ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প যদি লিখতে হয় তাহলে আটালান্টার বিপক্ষে প্যারিস সেন্ট জার্মেইর (পিএসজি) ম্যাচটি আদর্শ হিসেবে দেখানো যেতে পারে। ৮৯ মিনিট পর্যন্ত স্কোর লাইন ছিল আটালান্টা ১-০ পিএসজি।
ম্যাচ শেষ হতেই সব হিসেব পাল্টে গেল। ফল দাঁড়াল আটালান্টা ১-২ পিএসজি। কল্প-কাহিনী নয়। চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে শেষ মুহূর্তে বাজিমাত করেছে প্যারিসের দলটি।
বুধবার রাতে ২৬ মিনিটে মারিও পাসালিকের গোলে এগিয়ে যায় সিরি’ আর দল আটালান্টা। ৯০ মিনিটে মারকুইনহোস ও ৯০+৩ মিনিটে এরিক মাক্সিম চৌপো-মটিংয়ের গোলে জয় তুলে নেয় লিগ ওয়ানের চ্যাম্পিয়নরা।
স্টাডিও ডা লুজে তিন মিনিটের মাথায় এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ ছিল ইতালিয়ান ক্লাবটির কাছে। তবে পাল্টা আক্রমণে গোলরক্ষককে একা পেয়েও গোল তুলতে ব্যর্থ হন পিএসজির সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য খেলোয়াড় নেইমার।
ফ্রান্সের দলটির হয়ে খেলা রিয়াল মাদ্রিদের সাবেক গোলরক্ষক কেইলর নাভাসের প্রশংসা করতেই হবে। শুরু থেকে আটালান্টার আক্রমণভাগকে যথাযথভাবে রুখে দিয়েছেন কোস্টারিকার এই তারকা।
যদিও ২৬তম মিনিটে ক্রোয়েশিয়ান ফরোয়ার্ড পাসালিক গোল তুলে এগিয়ে দেন দলকে। প্রথমার্ধে বেশ কয়েকটি সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেনি দুই দল।
দ্বিতীয়ার্ধটা ছিল পুরোটাই পিএসজির। একের পর এক আক্রমণ করেও সফলতা মিলছিল না। ইনজুরি থেকে ফিরে শেষ ৩০ মিনিটের জন্য মাঠে নেমেছিলেন কিলিয়ান এমবাপে। ফ্রান্সের হয়ে বিশ্ব জয়ী এই তরুণ মাঠে নামতেই রং পাল্টে যায় দলের। গোল তুলতে মরিয়া হয়ে উঠে পিএসজি।
৮৯ মিনিটে নেইমারের বাড়ানো বলে লো পারসিয়ান্সদের হয়ে প্রথম গোলটি তুলেন ব্রাজিলের মারকুইনহোস। যোগ করা সময়ে গোল করেন মটিং। যার উৎপত্তি ছিল নেইমারের পা থেকেই। পরে তা এমবাপের পা হয়ে ক্যামেরুনের এই উইংগারের মাধ্যমে জালে জড়ায়। এতে ইউরোপ সেরা লিগের শেষ চার নিশ্চিত করল টমাস টুখেলের শিষ্যরা।
আগামী ১৭ আগস্ট দ্বিতীয় সেমিফাইনালে নামবে পিএসজি। যেখানে প্রতিপক্ষ হিসেবে থাকবে লিপজিগ অথবা অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ।